অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’কে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ইউরোপীয় দেশগুলোতে পবিত্র কুরআন অবমাননার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।গতকাল (বুধবার) সর্বোচ্চ নেতার অফিসিয়াল টুইটার একাউন্টে পোস্ট করা এক বার্তায় এই নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, “বাকস্বাধীনতার স্লোগানকে অপব্যবহার করে পবিত্র কুরআনের সঙ্গে যে বিকৃতমস্তিষ্ক আচরণ করা হচ্ছে তাতে প্রমাণিত হয়, দাম্ভিক শক্তিগুলো ইসলাম এবং কুরআনকেই তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।”
সর্বোচ্চ নেতার টুইটার বার্তায় বলা হয়, “দাম্ভিক শক্তিগুলোর ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনের ঔজ্জ্বল্য প্রতিদিন বাড়ছে এবং ইসলামের জন্য সমুজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।” বার্তার শেষাংশে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরো বলেন, “ইসলামের পবিত্র বিষয়গুলোর অবমাননা ও ঘৃণা ছড়ানোর দুষ্ট চক্রান্তের মোকাবিলায় বিশ্বের সকল স্বাধীনতচেতা মানুষের উচিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো।”
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সুইডেনে পবিত্র কুরআন অবমাননার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এই জঘন্য পদক্ষেপ মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও সহিংসতার একটি স্পষ্ট উদাহরণ। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে ইসলাম অবমাননার প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন ‘মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
সুইডেনের উগ্র ডানপন্থি রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদান দেশটির সরকারের অনুমতি নিয়ে গত শনিবার স্কটহোমস্থ তুর্কি দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআনের একটি কপিতে আগুন দেয়।ওই কুলাঙ্গার যখন এই অপকর্ম করে তখন সুইডিশ পুলিশ তাকে নিরাপত্তা প্রদান করে।
এছাড়া, এর দুদিন পর সোমবার নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে উগ্র ডান-পন্থি ইসলাম-বিদ্বেষী ‘পেজিডা’ গোষ্ঠীর নেতা এডউইন ওয়াজেন্সভেল্ড এক-ব্যক্তির একক ইসলামবিরোধী মিছিল বের করে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নরাধম পবিত্র কুরআনের কয়েকটি পৃষ্ঠা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে তার উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
Leave a Reply